সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:০৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
জরুরী বিজ্ঞপ্তি
দৈনিক বর্তমান দেশ সংবাদ এ সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ৭৮/৪/ সি তৃতীয় তলা, কাজলা ব্রীজ-উত্তর যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। ফোন ০২-২২৩৩৪২১৪১,  মুঠোফোন :  ০১৮১৭-৫৩০৯৫২।

ঠাকুরগাঁওয়ে পীরগঞ্জে বিনা বেতনের সান্ধ্যকালীন পাঠকেন্দ্র চালু।

  • আপডেট এর সময় : রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৫ বার পঠিত হয়েছে

মোঃ মজিবর রহমান শেখ   ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি:

ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ভেলাতৈড় উত্তরপাড়ায় ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা বেতনের সান্ধ্যকালীন পাঠকেন্দ্র’ চালু করা হয়েছে। সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় সহায়তা দিতে এই পাঠকেন্দ্র চালু করেন ঢাকায় কর্মরত দৈনিক প্রথম আলোর সোশ্যাল মিডিয়া মডারেটর আমিনুর রহমান হৃদয় ।

বর্তমানে স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ১৫ জন শিক্ষার্থী এই পাঠকেন্দ্রে নিয়মিত পড়াশোনা করছে। শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগের অভিভাবক কৃষক, শ্রমিক বা ব্যবসায়ী হওয়ায় তারা সন্ধ্যার পর পড়াশোনায় তেমন সহায়তা পান না। অনেক পরিবারের পক্ষেও প্রাইভেট শিক্ষক রাখা সম্ভব নয়।

এ কারণে তাদের জন্য একজন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যিনি মাসিক ২ হাজার টাকা সম্মানিতে সন্ধ্যার পর পাঠদান করবেন। প্রাথমিকভাবে তিন মাস পরীক্ষামূলকভাবে পাঠকেন্দ্রটি চালু থাকবে। এই সময়ের ব্যয় হৃদয়েই বহন করছেন।

শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ইতিবাচক পরিবর্তন এলে ভবিষ্যতে শুভাকাঙ্ক্ষী ও বন্ধুদের সহায়তায় পাঠকেন্দ্রটি চালিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান, আমিনুর রহমান হৃদয়। উদ্বোধনী দিনে পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা বলেন, “সান্ধ্যকালীন পাঠকেন্দ্রটি নিঃসন্দেহে একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় যেখানে অনেক অভিভাবক নিজের সন্তানদের পড়াশোনায় সহায়তা করতে পারেন না, সেখানে এ ধরনের উদ্যোগ শিশুদের শিক্ষার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

আমাদের সমাজে অনেকেই শিক্ষার প্রসারের কথা বলেন, কিন্তু বাস্তবে উদ্যোগ নেন খুব কম। আমিনুর রহমান হৃদয় শিক্ষার্থীদের জন্য এই পাঠকেন্দ্র চালু করেছেন, তা সত্যিই অনুকরণীয়। আমরা চাই, ভবিষ্যতে আরও মানুষ এ ধরনের উদ্যোগে সম্পৃক্ত হোক এবং শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াক।

পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে জানান ,এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই এবং ভবিষ্যতে যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। আশা করি, পাঠকেন্দ্রটি দীর্ঘস্থায়ী হবে এবং এখান থেকে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে। স্থানীয়দের মতে, এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে সহায়ক হবে এবং এলাকায় শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সংবাদটি আপনার সোস্যাল নেটওয়ার্কে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ