সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সাঘাটা সমাজসেবা কর্মকর্তার অনিনয়ম-দুর্নীতির শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন গণস্বাক্ষর স্বারক লিপি প্রদান খ্রিষ্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস মারা গেছেন আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে আমদানি মূল্য পরিশোধের নির্দেশনা ভুয়া অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলো ফেসবুক বজ্রপাত ও বৃষ্টির সময় যে দোয়াটি পড়া উত্তম ফাইনালে অনিশ্চয়তা, চোটে পড়লেন লেভানডোভস্কি দীর্ঘদিনের বান্ধবীকে বিয়ে করলেন ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট নকশার ব্যত্যয় নির্মাণাধীন ঢাকার ৩৩৮২টি ভবন ভাঙা হবে ঢাকায় ছাত্রদল নেতা পারভেজ হত্যার প্রতিবাদে মাদারীপুরে মানববন্ধন সুন্দরবনের জীব বৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকির মুখে। বিভিন্ন খালে বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে চলছে মাছ শিকার।
জরুরী বিজ্ঞপ্তি
দৈনিক বর্তমান দেশ সংবাদ এ সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ৭৮/৪/ সি তৃতীয় তলা, কাজলা ব্রীজ-উত্তর যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। ফোন ০২-২২৩৩৪২১৪১,  মুঠোফোন :  ০১৮১৭-৫৩০৯৫২।

খ্রিষ্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস মারা গেছেন

  • আপডেট এর সময় : সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫
  • ০ বার পঠিত হয়েছে

ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস মৃত্যুবরণ করেছেন। স্থানীয় সময় সোমবার (২১ এপ্রিল) সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।

এদিকে পোপের মৃত্যুর ঘটনায় শোক জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

জানা গেছে, ১২ বছর ধরে পোপ পদে থাকার পর তিনি মারা গেলেন। বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন, রোমান ক্যাথলিক চার্চের প্রথম ল্যাটিন আমেরিকান নেতা পোপ ফ্রান্সিস। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে তার শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়।

ভ্যাটিকান নিউজ সার্ভিস জানিয়েছে, ভ্যাটিকানের কাসা সান্তা মার্টায় তার বাসভবনে তিনি মারা গেছেন।

সেন্ট পিটার্স স্কোয়ারে হাজার হাজার উপাসককে ‘শুভ ইস্টার’ জানানোর  একদিন পরই তার মৃত্যু হলো। এ সময় তিনি হুইলচেয়ারে করে বেরিয়ে এসে সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকার বারান্দা থেকে উল্লাসিত জনতার দিকে হাত নাড়িয়ে বললেন: ‘প্রিয় ভাই ও বোনেরা, শুভ ইস্টার।’

তার ঐতিহ্যবাহী ইস্টার ভাষণ এবং আশীর্বাদ বাক্য একজন সহকারী পাঠ করেন। তখন তিনি বসে ছিলেন এবং দেখছিলেন।

ফ্রান্সিস, অনেক দিন ধরে ফুসফুসের রোগে ভুগছিলেন এবং যুবক বয়সে তার একটি ফুসফুসের অংশবিশেষ কেটে ফেলা হয়েছিল। তাকে ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ তারিখে শ্বাসকষ্টের সমস্যায় জেমেলি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যা ডাবল নিউমোনিয়ায় পরিণত হয়। তিনি সেখানে ৩৮ দিন কাটিয়েছিলেন।

প্রসঙ্গত, পোপ ফ্রান্সিস, ইতিহাসের প্রথম ল্যাটিন আমেরিকান পোপ, যিনি তাঁর বিনয়ী ভঙ্গি এবং দরিদ্রদের প্রতি ভালোবাসার মাধ্যমে বিশ্বকে মুগ্ধ করেছিলেন।

পোপের প্রতি বিশ্বনেতাদের শ্রদ্ধা

বিশ্বের ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস মারা যাওয়ার খবরে শোকের ছায়া নেমে আসে বিশ্বজুড়ে। পোপের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা। ইউরোপীয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইন বলেছেন,  পোপ তার নম্রতা ও কম ভাগ্যবানদের প্রতি পবিত্র ভালোবাসা দিয়ে ক্যাথলিক চার্চের বাইরেও লাখ লাখ মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন।

পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

“গভীরভাবে ব্যথিত” জানিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

পোলিশ প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক পোপ ফ্রান্সিসকে একজন “ভালো, উষ্ণ এবং সংবেদনশীল মানুষ” হিসেবে স্মরণ করেছেন।

মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দুল ফাত্তাহ আল সিসি বলেছেন, পোপ ফ্রান্সিস “শান্তি, ভালোবাসা এবং করুণার কণ্ঠস্বর ছিলেন।”

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ “সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ” মানুষের প্রতি পোপ ফ্রান্সিসের অঙ্গীকারের প্রশংসা করেছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে তিনি বলেছেন, “পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে আমি শোকাহত। শান্তি, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের প্রতি তাঁর অঙ্গীকার এক গভীর দৃষ্টান্ত রেখে গেছে। শান্তিতে থাকুন।”

পোপ ফ্রান্সিসের সাথে সাক্ষাতের দুইদিন পরই তার মৃত্যুতে শ্রদ্ধা জানাতে হলো যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস – প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সকে। মি. ভ্যান্স বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ খ্রিস্টান যারা পোপকে ভালোবাসতেন, তাদের প্রতি আমার হৃদয় কাঁদে।” মি. ভ্যান্স শুক্রবার রোমে পৌঁছেছিলেন। শনিবার ভ্যাটিকান কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করেছিলেন তিনি। পোপের সাথে সংক্ষিপ্ত একটি একান্ত সাক্ষাৎও করেছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মি. ভ্যান্স।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে পোপের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। পোস্টটিতে বলা হয়েছে, “শান্তিতে ঘুমান, পোপ ফ্রান্সিস”।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পের সাথে পোপের সাক্ষাতের একটি ছবি এবং শনিবার জেডি ভ্যান্সের সাথে পোপের সাক্ষাতের আরেকটি ছবি এই পোস্টে দেয়া হয়েছে।

ডাচ প্রধানমন্ত্রী ডিক স্কুফ বলেছেন, “পোপ ফ্রান্সিস সর্বোপরি জনগণের একজন মানুষ ছিলেন।”

ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট রবার্টা মেটসোলা পোপের হাসির প্রশংসা করে বলেছেন, “তার সংক্রামক হাসি বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের হৃদয় জয় করেছিল।”

সুইস প্রেসিডেন্ট কারিন কেলার সাটার বলেছেন, পোপ ফ্রান্সিস একজন “মহান আধ্যাত্মিক নেতা, শান্তির জন্য অক্লান্ত একজন প্রবক্তা ছিলেন।”

স্কটিশ ফার্স্ট মিনিস্টার জন সুইনি পোপকে “শান্তি, সহনশীলতা এবং পুনর্মিলনের জন্য একটি কণ্ঠস্বর” হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

পোপের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো বিশ্ব নেতাদের মধ্যে প্রথম ব্যক্তি ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো পোপকে নম্র মানুষ হিসেবে অভিহিত করেছেন। “ নম্রতার মানুষ, সবচেয়ে দুর্বল এবং সবচেয়ে ভঙ্গুর ব্যক্তিদের পাশে থাকা”বলে পোপকে অভিহিত করেছেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ।

পোপ ফ্রান্সিসের জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তারিখ

পোপ ফ্রান্সিস, প্রথম যিশুয়াইট ও লাতিন আমেরিকান পোপ গতকাল ৮৮ বছর বয়সে মারা যান, তাঁর জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তারিখ এখানে দেওয়া হলো:

১৭ ডিসেম্বর, ১৯৩৬: বুয়েনস আয়ার্সে জন্মগ্রহণ করেন হোর্হে মারিও বেরগোলিও। তিনি একজন হিসাবরক্ষক ও গৃহিণী মায়ের সন্তান, যাঁদের পরিবার ইতালীয় অভিবাসী ছিল।

২১ সেপ্টেম্বর, ১৯৫৩: যাজক হওয়ার আহ্বান পান। তিনি পরে বলেন, স্কুলের একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে যীশু খ্রিস্টের প্রতি আকর্ষিত হয়ে গির্জায় যাওয়ার সিদ্ধান্তটি তার জীবন বদলে দিয়েছিল।

১৯৫৭: ফুসফুসের একটি অংশ অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচার করান।

১১ মার্চ, ১৯৫৮: বিশ্ববিদ্যালয়ে রাসায়নিক প্রকৌশল অধ্যয়ন শেষ করার পর তিনি যিশুয়াইট আদর্শে যোগ দেন।

১৩ ডিসেম্বর, ১৯৬৯: যাজক হিসেবে দায়িত্ব পান। ৩১ জুলাই, ১৯৭৩: তিনি আর্জেন্টিনার যিশুয়াইটদের নেতা হন। তিনি ছয় বছর ধরে

এ পদ ধারণ করেন।

১৯৮০: যিশুয়াইট আদেশের মধ্যে উত্তেজনার মধ্যে তিনি সান মিগুয়েল কলেজে প্যারিশ পাদরি ও রেক্টর হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯৮৬ সালে তিনি জার্মানি ও পরে আর্জেন্টিনার কর্ডোবা শহরে যান। ১৯৯২ সালে বুয়েনস আইয়ার্সে সহকারী বিশপ হিসেবে ফিরে আসেন।

২৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৮: বুয়েনস আইয়ার্সের আর্চবিশপ নিযুক্ত হন।

২১ ফেব্রুয়ারি, ২০০১: জন পল দ্বিতীয় তাঁকে কার্ডিনাল বানান।

১৩ মার্চ, ২০১৩: তিনি ২৬৬তম পোপ হিসেবে নির্বাচিত হন, পূর্বসূরি পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট পদত্যাগ করার পর। তিনি অসি শহরের সেন্ট ফ্রান্সিসের নামানুসারে ফ্রান্সিস নাম নেন।

৮ জুলাই, ২০১৩: তিনি প্রথমবার রোমের বাইরে ভ্রমণ করেন ইতালির লাম্পেদুসা দ্বীপে, যা ইউরোপে অভিবাসীদের প্রধান প্রবেশদ্বার, সেখানে তিনি ‘অবহেলার বৈশ্বিকীকরণ’-এর সমালোচনা করেন। তিন বছর পর, তিনি লেসবস, গ্রিসের একটি শিবির থেকে ১২টি পরিবার ফিরিয়ে আনেন।

১১ জুলাই, ২০১৩: শিশুদের প্রতি যৌন নির্যাতন এবং চার্চের মধ্যে দুর্নীতি মোকাবিলায় ভ্যাটিকানের দণ্ডবিধি সংস্কার শুরু করেন।

২৯ জুলাই, ২০১৩: তিনি এক ফ্লাইটে ব্রাজিল থেকে ফেরার পথে বলেন, ‘যদি কেউ সমকামী হয় এবং প্রভুর সন্ধান করে এবং তার ভালো ইচ্ছা থাকে, তাহলে আমি তাকে বিচার করার কে?’

১৮ জুন, ২০১৫: ফ্রান্সিস তার দ্বিতীয় এনসাইক্লিকাল ‘লাউডাতো সি’ প্রকাশ করেন, যা পরিবেশবিদ্যার ওপর ভিত্তি করে। এই পত্রিকা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানায়।

১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬: রাশিয়ান অরথডক্স চার্চের প্যাট্রিয়ার্ক কিরিলের সাথে একটি ঐতিহাসিক সাক্ষাৎ করেন, যা প্রায় ১,০০০ বছর পর পূর্ব ও রোমান ক্যাথলিক চার্চের মধ্যে বিভাজনের পর প্রথম।

২৩ মে, ২০১৬: কায়রোর আল-আজহার মসজিদের গ্র্যান্ড ইমাম শেখ আহমেদ আল-তায়েবের সাথে ভ্যাটিকানে একটি ঐতিহাসিক সাক্ষাৎ হয়।

১১ এপ্রিল, ২০১৮: ফ্রান্সিস চিলিতে শিশুদের যৌন নির্যাতন মামলার ক্ষেত্রে ‘বড় ভুল’ স্বীকার করেন এবং ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮: ফ্রান্সিস চীন ও পবিত্র সীলা মধ্যে প্রথম বারের বিশপ নিয়োগের ওপর

সহমত চুক্তি ঘোষণা করেন, যা  ছিল।

২৭ মার্চ, ২০২০: ইউরোপের বেশিরভাগ অঞ্চল করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর, ফ্রান্সিস একা সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে ‘উর্বি এট অরবি’ ভাষণ দেন।

২১ অক্টোবর, ২০২০: একটি ডকুমেন্টারিতে তিনি সমলিঙ্গের নাগরিক ইউনিয়নের পক্ষে মত দেন।

৬ মার্চ, ২০২১: তিনি ইরাকে প্রথম পোপীয় সফরে যান, যেখানে তিনি গ্র্যান্ড আয়াতুল্লাহ আলী আল-সিস্তানির সাথে সাক্ষাৎ করেন।

৪ জুলাই, ২০২১: সফল কোলন অস্ত্রোপচারের পর, তিনি ১০ দিন হাসপাতালে ছিলেন।

৫ জুন, ২০২২: নতুন অ্যাপোস্টলিক কনস্টিটিউশন কার্যকর হয়, যা চার্চের শাসনব্যবস্থায় বড় ধরনের সংস্কারের পরিপূর্ণতা দেয়, যা তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর শুরু করেছিলেন।

৫ জানুয়ারি, ২০২৩: সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে পোপ ষোড়শ বেনেডিক্টের শেষকৃত্যে তিনি পৌরহিত্য করেন।

২৯ মার্চ, ২০২৩: শ্বাসকষ্টের কারণে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন এবং তিন রাত থাকেন।

৭ জুন, ২০২৩: হার্নিয়ার অস্ত্রোপচারের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হন এবং ৯ রাত থাকেন।

৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪: ৮৭ বছর বয়সে, তিনি ১২ দিনের এক ঐতিহাসিক সফরে ইন্দোনেশিয়া, পাপুয়া নিউ গিনি, পূর্ব তিমুর এবং সিঙ্গাপুরে যান।

১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫: ব্রঙ্কাইটিসের কারণে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন, যা পরে ডাবল নিউমোনিয়ায় রূপান্তরিত হয়।

সংবাদটি আপনার সোস্যাল নেটওয়ার্কে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ