বিনোদন ডেস্ক: ছোট পর্দা থেকে শুরু করে চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দর্শক ও সমালোচকদের প্রশংসা লাভ করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। যার অভিনয় দক্ষতায় মুগ্ধ দুই বাংলার অগণিত দর্শক। তার সিনেমা মানেই অন্যরকম চমক। চলতি বছরের ভারতের স্বাধীনতা দিবসে মুক্তি পায় চঞ্চল অভিনীত ছবি ‘পদাতিক’। ছবিটির পরিচালনায় ছিলেন ওপার বাংলার সৃজিত মুখার্জী। কিন্তু ভারতের খ্যাতিমান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মৃণাল সেনের এই বায়োপিক দর্শকদের থেকে তুমুল প্রশংসিত হলেও বক্স অফিসে সেই অর্থে চলেনি। এরপরও ছবিটি নিয়ে গর্বিত সৃজিত; সেটির ব্যাখ্যাও দিলেন এই পরিচালক। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ‘পদাতিক’ এর একটি দৃশ্যের ছবি পোস্ট করেন সৃজিত। সেখানে ক্যাপশনে সৃজিত লেখেন,‘পদাতিকের আজ ৫০ দিন পূর্ণ হল। এটা আমার ২২ তম বাংলা ছবি। অনেকেই যারা আমার এই ছবিটি দেখেছেন তারা জানিয়েছেন এটা আমার করা সেরা ছবি। আমি এর আগে বেশ কিছু ছবি করেছি যেগুলো দর্শকদের থেকে ভালোবাসা পেয়েছে। কিন্তু এই ছবিটি যেমন অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে তেমনই আনন্দ দিয়েছে। এটি আমার করা এখনও পর্যন্ত যে ৩ টে ছবি বক্স অফিসে ডুবেছে সেগুলোর সঙ্গে যুক্ত হল, জাতিস্মর, নির্বাক এবং শাহজাহান রিজেন্সি। কিন্তু ওই তিনটের ব্যর্থতার মতো কষ্ট হয়নি। পদাতিকের ব্যর্থতা আমায় প্রচণ্ড গর্বিত করেছে।’ এরপর পরিচালক কারণ ব্যাখ্যা করে লেখেন, ‘মৃণাল সেনের এল ডোরাডো ২০২৪ সালে তাকে ঠিক সেভাবেই উদ্যাপন করেছে যেভাবে তাকে পাওয়া যেত, রাস্তায়, প্রতিবাদে।’ ‘পদাতিক’ যখন মুক্তি পায় তার ঠিক এক সপ্তাহ আগেই কলকাতায় আরজি কর কা- ঘটে যায়। এতে উত্তাল হয়ে ওঠে কলকাতায় শহর, রাস্তায় নেমে পড়ে সাধারণ মানুষ। পথে প্রতিবাদের ঢল নামে। বিচারের দাবিতে রাত দখল, জমায়েত, মিটিং, মিছিল চলতে থাকে। আর সেটার খানিকটা প্রভাব বিনোদন জগতের ওপর পড়ে। আসলে তখন কেউই সিনেমা উপভোগ করার অবস্থায় ছিলেন না। আর এই লেখার মাধ্যমে এদিন সৃজিত মুখার্জী সেই কথাই বোঝাতে চেয়েছিলেন। পদাতিক ছবিটিতে মৃণাল সেনের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন কোরক সামন্ত (অল্প বয়সের) এবং চঞ্চল চৌধুরী (প্রাপ্ত বয়স্কের)। মৃণাল সেনের স্ত্রীর চরিত্রে দেখা গেছে মনামী ঘোষকে। সত্যজিৎ রায় হয়ে ধরা দিয়েছিলেন জিতু কমল। উল্লেখ্য, চঞ্চল চৌধুরী ২০১০ সালে ‘মনপুরা’ এবং ২০১৬ সালে ‘আয়নাবাজি’ চলচ্চিত্রের জন্য সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এ ছাড়া তিনি তিনবার মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার লাভ করেন।