সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ১০:০১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
উত্তরায় বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত : নিহত বেড়ে ২০, আহত ১৭১ বাংলাদেশের বোলিং তোপে ১১০ রানে অলআউট পাকিস্তান ইসরাইলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুনঃস্থাপন করেছে ইরান সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা শ্রীপুরে পৌর বিএনপির উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত বাজারে নতুন স্মার্টওয়াচ আনলো গুগল অপবিত্র জায়গায় ফলানো সবজি খাওয়া কি জায়েজ? কমছে পান ও কলা চাষ, বেড়েছে ফলের চাষ ঝিনাইদতে গণতন্ত্রের সংকটে নতুন করে সক্রিয় হচ্ছে ফ্যাসিস্ট শক্তি: মির্জা ফখরুল পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে
জরুরী বিজ্ঞপ্তি
দৈনিক বর্তমান দেশ সংবাদ এ সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ৭৮/৪/ সি তৃতীয় তলা, কাজলা ব্রীজ-উত্তর যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪। ফোন ০২-২২৩৩৪২১৪১,  মুঠোফোন :  ০১৮১৭-৫৩০৯৫২।

ইসরাইলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুনঃস্থাপন করেছে ইরান

  • আপডেট এর সময় : রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫
  • ৩ বার পঠিত হয়েছে

ইরান জানিয়েছে তারা গত মাসে ইসরাইলের সঙ্গে ১২ দিনের যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুনঃস্থাপন করেছে। রোববার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ-কে দেশটির এক শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।

গত জুনের মাঝামাঝি ইসরাইল ইরানের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন বিমান হামলা চালায়, যার জবাবে তেহরান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।

এই সংঘাতে ইরানের রাজধানী তেহরানসহ দেশজুড়ে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা একাধিকবার সক্রিয় হয় এবং উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়।

তেহরান থেকে এএফপি জানায়, ইরানের সেনাবাহিনীর অপারেশন প্রধান মাহমুদ মোসাভি আইআরএনএ-কে বলেন,

‘জায়নিস্ট শত্রু আমাদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা ধ্বংস করতে চেয়েছিল এবং সেই যুদ্ধে আমাদের কিছু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন সেই ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুনঃস্থাপন করা হয়েছে।’

ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কে রয়েছে দেশীয়ভাবে তৈরি বাভার-৩৭৩ ও খোরদাদ-১৫ সিস্টেম, যা বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধে সক্ষম। এছাড়া ২০১৬ সালে ইরান রাশিয়ার এস-৩০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপন করে।

ইরানের হিসাব অনুযায়ী এই যুদ্ধে দেশটিতে এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়। অন্যদিকে ইরানি হামলায় ইসরাইলে অন্তত ২৮ জন নিহত হয়।

ইসরাইলি হামলায় ইরানজুড়ে সামরিক ও পরমাণু স্থাপনাগুলো টার্গেট করা হয়।

গত ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইলের মিত্র হিসেবে ইরানের ফোর্দো, ইসফাহান ও নাতাঞ্জে পরমাণু স্থাপনায় নজিরবিহীন বিমান হামলা চালায়।

এই হামলায় ইরানের পরমাণু কর্মসূচির কতটা ক্ষতি হয়েছে তা এখনও পুরোপুরি পরিষ্কার নয়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, এসব স্থাপনা ‘সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস’ করা হয়েছে। তবে মার্কিন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলো সে দাবির সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করে।

এসবিসি নিউজ এক সামরিক মূল্যায়নের ভিত্তিতে জানিয়েছে, তিনটি স্থাপনার মধ্যে কেবল একটির বেশির ভাগ ধ্বংস হয়েছে।

২৪ জুন থেকে ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে।

তবে যুদ্ধবিরতির পর ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দেন যে, ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা পুনর্গঠনে তারা বাধা দেবে, যা নতুন করে সংঘাতের সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে।

চলতি জুলাইয়ের শুরুতে ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ বলেন, ‘ইরান যেন আর কখনও ইসরাইলকে হুমকি দিতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে আমরা একটি পরিকল্পনা তৈরি করছি।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের সামরিক বাহিনীকে তেহরানের ওপর আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখতে হবে, ইরানের ওপর বিধিনিষেধ প্রয়োগের সক্ষমতা রাখতে হবে এবং তাদের পুনর্গঠন রোধ করতে হবে।’

সংবাদটি আপনার সোস্যাল নেটওয়ার্কে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো সংবাদ