সুন্দর হাসি মানুষের ব্যক্তিত্বের অন্যতম দিক। ঝকঝকে সাদা দাঁত সেই হাসির সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে দেয়। তবে নানা কারণে দাঁতের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা হারাতে পারে। কফি, চা, তামাকজাত পণ্য, কিংবা ভুল ব্রাশিং পদ্ধতির ফলে দাঁতে দাগ পড়তে শুরু করে, যা আমাদের আত্মবিশ্বাসেও প্রভাব ফেলে। তাই দাঁতকে উজ্জ্বল ও সাদা রাখার জন্য নিয়মিত যত্ন নেওয়া জরুরি। দাঁত ঝকঝকে রাখতে কী কী করা উচিত? সঠিক ব্রাশিং পদ্ধতি: দাঁতের স্বাস্থ্য বজায় রাখার প্রথম ধাপ হচ্ছে নিয়মিত সঠিকভাবে দাঁত ব্রাশ করা। দিনে অন্তত দুইবার দাঁত ব্রাশ করতে হবে। নরম ব্রিসলের টুথব্রাশ ব্যবহার করে গোলাকারভাবে দাঁত ব্রাশ করা উচিত, যাতে মাড়ির ক্ষতি না হয়।
ফ্লস ব্যবহার করা: অনেক সময় ব্রাশ করলেও দাঁতের মাঝে জমে থাকা খাবারের কণা ঠিকমতো পরিষ্কার হয় না। ফ্লসিং দাঁতের মাঝে জমে থাকা খাবার এবং প্লাক দূর করতে সাহায্য করে। এটি দাঁতের হলদে ভাব দূর করার পাশাপাশি মুখের দুর্গন্ধও দূর করে। মাউথওয়াশ ব্যবহার: দাঁত ব্রাশ এবং ফ্লস করার পর মাউথওয়াশ ব্যবহার করা ভালো। মাউথওয়াশ মুখের জীবাণু দূর করে এবং মুখের ভেতরের সতেজতা বজায় রাখে।
খাদ্যাভ্যাস: কিছু খাবার যেমন টমেটো, ব্লুবেরি, কিংবা সয়াসস দাঁতে দাগ ফেলে। এ ধরনের খাবার খাওয়ার পর ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করা জরুরি। এছাড়া, দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য দাঁতের এনামেল মজবুত রাখে এবং দাঁত সাদা রাখতেও সহায়ক।
পর্যাপ্ত পানি পান: খাওয়ার পর পর্যাপ্ত পানি পান করলে দাঁতে জমে থাকা খাবারের কণা ধুয়ে যায়। এটি দাঁতের হলদে দাগ পড়া থেকে রক্ষা করে এবং মুখকে হাইড্রেটেড রাখে।
দাঁত সাদা করার ঘরোয়া উপায়
বাজারে নানা রকমের কেমিক্যাল পণ্য পাওয়া যায়, তবে কিছু প্রাকৃতিক উপায়ও দাঁত সাদা রাখতে কার্যকর হতে পারে:
বেকিং সোডা ও লেবুর রস: বেকিং সোডা দাঁতের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে। এর সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে দাঁতে ঘষলে ভালো ফল পাওয়া যায়। তবে এটি সপ্তাহে ১-২ বার করা উচিত, বেশি ব্যবহারে দাঁতের এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কাঠকয়লা পাউডার: কাঠকয়লার পাউডার প্রাকৃতিকভাবে দাঁতের দাগ দূর করতে সহায়ক। এটি অল্প পরিমাণে ব্যবহার করে দাঁত মেজে ফেলুন।
স্ট্রবেরি: স্ট্রবেরিতে থাকা ম্যালিক অ্যাসিড দাঁতের প্রাকৃতিক রঙ ফিরিয়ে আনে। স্ট্রবেরি মিহি করে দাঁতে লাগিয়ে কয়েক মিনিট রেখে ধুয়ে ফেললে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
নিয়মিত ডেন্টিস্টের পরামর্শ নিন
দাঁতের নিয়মিত যত্ন নেওয়া সত্ত্বেও অনেক সময় দাঁতে দাগ পড়তে পারে। তাই বছরে অন্তত একবার ডেন্টিস্টের কাছে গিয়ে দাঁত পরীক্ষা করানো উচিত। দাঁতের সঠিক যত্ন নিতে এবং কোনো সমস্যার আগাম সতর্কতা পেতে ডেন্টিস্টের পরামর্শ অপরিহার্য। সুস্থ দাঁত মানেই সুন্দর হাসি। দাঁতকে ঝকঝকে রাখুন, আপনার হাসিতে ঝরুক মুক্তার মতো উজ্জ্বলতা!